ইয়ারফিন আরা
ঠিকানা ঃ গ্রামঃ বীরগড়, হরিপুর, ঠাকুরগাঁও|
মোবাইল ঃ ০১৭৪৬৪৪৪১০০
আমার স্বামী একজন মাঝারী কৃষক এবং মধ্যবিত্ত পরিবার হিসাবে আমার কিছু আবাদী/অনাবাদি ও পতিত মাঝারী উঁচু জমি ছিল। মূলত ধান, গম, ভুট্টা ইত্যাদি ফসল আবাদ করত। কিন্তু এসব ফসল উৎপাদন করে পরিবারের ব্যয় মিটনো সম্ভব হতো না। বিগত বেশ কিছুদিন যাবত স্বামীর অসুস্থতার জন্য পরিবারের পরিচালনার দায়িত্ব আমাকে নিতে হয়। সংসার পরিচালনার মূল চাবিকাঠি ছিল কৃষি। কৃষি চাষাবাদ করে বছরে যা ফসল পেতাম তা বিক্রি করে প্রতি বছর আমি ঋণগ্রস্থ হতাম। আমার তিন কন্যা সন্তান। অসুস্থ্য স্বামীসহ মোট ০৫ (পাঁচ) সদস্যের পরিবার। পরিবারের দায়ভার মেটাতে এক পর্যায়ে আমি বিভিন্ন এনজিও ও স্থানীয় লোকজনের নিকট হতে অর্থ হাওলাদ নিয়ে ঋণ গ্রস্থ হই এবং হতাশায় ভুগতে থাকি।
এক পর্যায়ে উপজেলা কৃষি অফিসের ইউনিয়ন পর্যায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাথে পরার্মশ করি এবং তাকে আমার সমস্যার কথা বলি। উনি আমাকে পরামর্শ দেন যে, মৌসুমী ফসল আবাদ করে বৎসরে যা পাওয়া যায় তার থেকে স্থায়ীভাবে বাগান স্থাপন করলে বেশী লাভবান হওয়া যাবে। উনার এই পরামর্শের সহিত একমত পোষণ করে বাগান স্থাপনের ধারনা নিতে চাইলে উনি আমাকে হর্টিকালচার সেন্টার, দিনাজপুরে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে যোগাযোগ করে আমি হর্টিকালচার সেন্টারে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করি এবং তাদের পরার্মশ ক্রমে আমি বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে মিশ্র ফলবাগান প্রদর্শনী স্থাপন করি। পরবর্তীতে আমি নিজস্ব উদ্যোগে আম, মাল্টা ও কুল বাগান স্থাপন করি। প্রদর্শনী স্থাপনের ২য় বছর হতে ফল পেতে শুরু করি।
২য় বছরে আম থেকে পাই = ৫০,০০০/- ও মাল্টা থেকে = ৫০,০০০/- টাকা
৩য় বছরে আম = থেকে ৫০,০০০/- ও মাল্টা থেকে ৬০,০০০/- টাকা পাই।
* এই ভাবে ৪র্থ ও ৫ম বছরে টাকা পেতে থাকি। আমি এখন আর্থীক ভাবে স্বচ্ছল। আমার কোন ঋণ বা দায় দেনা নেই। পাকা বাড়ী নির্মাণ, বড় মেয়ের বিয়েসহ দুই মেয়ের লেখা পড়ার খরচ স্বচ্ছলভাবে চলছে এবং আমার স্বামী সম্পূর্নভাবে সুস্থ।
আমার সাফল্য দেখে আমার প্রতিবেশী কামাল, বোন জামাই উৎসাহিত হয়ে বাগান করেছে।
আমার শ্রদ্ধেয় কর্মকর্তা বৃন্দ আমাকে সব সময়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে উৎসাহিত করছে এবং আমাকে একজন সফল কৃষানী হতে সাহায্য করছে। সকলকে ধন্যবাদ জানাই
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS